জেনে নিন মধু খাওয়ার উপকারীতা ও অপকারীতা সম্পর্কে
মধু শুধু সুস্বাদু খাবার হিসেবেই নয়, প্রাচিনকাল থেকেই বিভিন্ন ভাবে এর ব্যাবহার হয়ে আসছে।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান থেকেও প্রমানিত যে নিয়মিত মধু সেবন করলে অনেক রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।
বিশেষ করে আয়ুর্বেদে ওষুধ এর গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে রয়েছে মধুর ব্যাপক ব্যাবহার।
মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই কম বেশি অবগত আছি, কিন্তু কোন কিছুই মাত্রাতিরিক্ত ভালো নয় এবং এটির ও কিছু অপকারিতা রয়েছে।
প্রিয় পাঠক, বুঝতেই পেরেছেন নিশ্চই- আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।
তাই পুরো আর্টিকেল টি পড়ার অনুরোধ জানিয়ে লিখা শুরু করছি।
মধুতে উপস্থিত ভিটামিন, মিনারেলস ও বিভিন এনজাইম শরীর কে বিভিন্ন অসুখ বিশুখ থেকে রক্ষা করে। এটি জীবাণুনাশক এবং ব্যাথা উপশমকারী হিসেবেও বেশ উপকারী।
মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে নিচে আলোকপাত করা হলোঃ
মধুর প্রকারবেধ-
- খলিষা মধু
- গরানের মধু
- কালিজিরা মধু
- মানুকা মধু
- ব্লুবেরি মধু
- অরেঞ্জ ব্লুসম মধু
- বাক্সুইট মধু
- ক্লোভার মধু
মধুর পুষ্টি উপাদান
প্রয়োজনীয় ভিটামিন, পুষ্টি উপাদান এবং খনিজ লবন ছারাও এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, নিয়াসিন, ভিটামিন বি, রিবোফ্লাবিন, ভিটামিন সি, এবং অ্যামিনো এসিড। প্রতি ১০০ গ্রাম মধুতে ২৮৮ ক্যালরি রয়েছে। মধুতে চর্বি ও প্রোটিন নেই।
গ্লুকোজ | ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ |
ফ্রুক্টোজ | ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ |
সুক্রোজ | ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ |
মন্টোজ | ৫ থেকে ১২ শতাংশ |
অ্যামাইনো অ্যাসিড | ২২ শতাংশ |
খনিজ লবণ | ২৮ শতাংশ |
এনকাইম | ১১ শতাংশ |
মধুর ঔষধি গুণাবলী
শুধু বর্তমান সময়েই নয়, প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় মধু ব্যাবহার করা হচ্ছে। মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান যা খুব দ্রুত আঘাত বা ক্ষত সারাতে বেশ উপকারী।
এছাড়াও হজমশক্তি বাড়াতে, ক্যান্সার প্রতিরোধে, হার্ট সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কাশি উপশম করতে, ব্রেইন এর কার্যকারিতা বাড়াতেও সাহায্য করে মধু।
তবে সম্পূর্ণ ফলাফল পেতে হলে খেয়াল রাখতে হবে মধু যেন অবশ্যই খাটি হয়, ভেজাল মধু অনেক সময় বিভন্ন স্বাস্থ্য-ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
মধু খাওয়ার সঠিক নিয়ম
মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কম বেশি জানলেও খাওয়ার সঠিক নিয়ম নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে।
হ্যাঁ, অবশ্যই এর অনেক উপকারিতা রয়েছে কিন্তু আপনি যদি সঠিক নিয়ম অনুসরন না করে সেবন করেন কিংবা ব্যাবহার করেন তাহলে স্বাস্থ্য ঝুকি হতে পারে।
প্রতিদিন ১ থেকে ২ চা চামচ মধু সরাসরি (কাচা) খেতে পারেন কিংবা দুধ এর সাথে মিসিয়েও খেতে পারেন।
অথবা সকাল বেলায় খালি পেটে হালকা গরম পানির সাথে মধু মিসিয়ে খেতে পারেন যা ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
কেও কেও হালকা গরম পানি, মধু ও লেবু একসাথে মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে পানি খুব বেশি গরম যেন না থাকে।
জেনে নিন খাওয়ার উপকারিতা-
১। হার্ট সুস্থ রাখে-
heart.org থেকে মানুস এর ওপর করা একটি গবেষণা থেকে দেখা যায় যে, মধুতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
এছাড়াও মধু রক্তচাপ কমায়, হ্রিদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সুস্থ কোষ এর মৃত্যু রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১ থেকে ২ চা চামচ মৌরি গুঁড়োর সাথে সমপরিমান মধু মিশিয়ে খান, এটি হৃৎপেশী কে শক্তিশালী করে এবং এর কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
হাঁপানি রোগীদের কে ১/২ গ্রাম গোল মরিচ এর সাথে সমপরিমান মধু ও আদা মিশিয়ে প্রতিদিন কম পক্ষে ৩ বার পান করতে বলা হয়। এতে হাঁপানি রোগ প্রতিরোধ হয়।
২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়-
মধুতে অসংখ্য ঔষধি গুন রয়েছে যা স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
এতে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা দেহ কে যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রত্যেকদিন হালকা গরম দুধ এর সাথে ১-২ চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। মধু মানব দেহে সঠিক তাপ ও শক্তি জুগিয়ে শরীর কে সুস্থ রাখে।
৩। ওজন কমাতে | মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনি কি ওজন বৃদ্ধি সমস্যা নিয়ে চিন্তিত? তাহলে মধু আপনার জন্য ওজন কমানোর অন্যতম সেরা খাবার।
এতে একবারেই ফ্যাট বা চর্বি থাকে না যার ফলে এটি আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
চিকিৎসকরা ঘুমানোর আগে ১-২ চা চামচ মধু খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন কারণ এটি ঘুমের মধ্যেও চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।
এছাড়াও প্রত্যেকদিন সকাল বেলায় খালি পেটে হালকা গরম পানির সাথে ১-২ চা চামচ মধু এবং একটু লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন যা আপনাকে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
এটি আপনার সার্বিক সাস্থের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৪। কাশির জন্য মধুর উপকারিতা
কাশি উপশমের জন্য মধু ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে বেশ পরিচিত। একটি গবেষণা থেকে দেখা যায় যে মধুতে উপস্থিত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য গলার সংক্রমণ রোধ করে যার ফলে গলায় জ্বালাপোড়া কম হয়।
রাতে ঘুমানোর আগে হালকা গরম পানির সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে খুব দ্রুতই কাশি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
এছাড়াও গলা ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে ২ চা চামচ মধুর সাথে ১ চামচ আদার রস মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিন বার সেবন করতে পারেন, বেশ ভালো উপকার পাবেন।
৫। ভালো ঘুমের জন্য
আপনি কি অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন? রাতে শোয়ার আগে ১ গ্লাস হালকা গরম দুধ এর সাথে ২ চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এতে খুব ভালো ঘুম হবে।
কয়েক শতাব্দী ধরে মানুস গভীর ঘুম এর জন্য এই পদ্ধতি ব্যাবহার করে আসছে।
৬। ত্বকের জন্য মধুর উপকারিতা
মধু সেরা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে পরিচিত যা শুষ্ক ও তৈলাক্ত দুই ধরনের ত্বকের জন্যই উপকারী।
এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে এবং ত্বকের ভাজ পরা রোধ করে ত্বককে আরও সুন্দর করে তোলে।
মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি, জিংক, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধক। এটি একটি উচ্চমানের প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হওয়ায় এর ব্যাবহারে মুখে ব্রণ আসে না।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য মধু দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক বেশ উপকারী । ভালো ফলাফল পেতে- মধু ও লেবু, মধু ও কলা, মধু ও দই, মধু ও দুধ দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যাবহার করতে পারেন।
যাদের ত্বক শুষ্ক তারা ত্বকের শুস্ক অংশে ১৫-২০ মিনিটের জন্য মধু লাগিয়ে রাখুন। তারপর শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এভাবে সপ্তাহে অন্তত ৩ বার ব্যাবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আরোও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক!
৭। ব্রেইন এর কার্যকারিতা বাড়ায়
আপনাকে একজন পুরনাঙ্গ স্বাস্থ্যকর ব্যাক্তি হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি মধু সেবন আপনার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
মধু তে উপস্থিত প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্য মস্তিষ্ক কে বেশি সক্রিয় করে এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাশকারী কোষ গুলোকে ধ্বংস করতে সহয়াহতা করে।
তাই স্মৃতিশক্তি বাড়াতে আপনিও প্রতিদিন ১-২ চামচ মধু সেবন করতে পারেন।
৮। ক্ষত নিরাময়ে মধুর ব্যাবহার
মধুতে উপস্থিত অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য গুলো খুব দ্রুত পোড়া ও ক্ষত স্থান নিরাময় করে এবং ত্বককে সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষা করে।
এটি ক্ষতিগ্রস্থ কোষ এবং টিস্যু গুলোকে মেরামত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ক্ষতস্থানে সরাসরি মধু লাগাতে পারেন, সেক্ষেত্রে যদি খুব বেশি জ্বালা পোড়া করে তাহলে মধুর সাথে গোলাপজল মিশিয়ে ব্যাবহার করুন।
৯। হজমে সহায়তা করে
মধু পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হজমের সমস্যা সমাধান করে। মধুতে ডেক্সট্রিন নামক পদার্থ থাকে যা সরাসরি রক্তে মিসে যায় এবং তাৎক্ষণিক ভাবে কাজ শুরু করে যার ফলে সহজেই কিছু হজম হয়ে যায়।
যাদের হজম এর বা পেট এর সমস্যা আছে তারা নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
মধুতে উপস্থিত ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এটি গ্যাস্টিক এর সমস্যাও প্রতিরোধ করে।
নিয়মিত মধু সেবন করলে বমি বমি ভাব, বুক জ্বালা, অরুচি এবং গ্যাস্ট্রিক এর মত সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।
রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খান, এতে বেশ উপকার পাবেন।
১০। যৌন দুর্বলতায় মধুর উপকারিতা
যৌন দুর্বলতা দূরীকরণে মধু মহা ওষুধ হিসেবে পরিচিত। যেসকল পুরুষদের যৌন দুর্বলতা রয়েছে তারা প্রতিদিন মধু ও ছোলা খেতে পারেন পারেন।
খাওয়া শুরু করার কয়েকদিনের মধ্যেই ফলাফল দেখতে পাবেন আশা করা যায়। বলে রাখা ভালো, মধু নারী ও পুরুষ উভয়েরই যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
মধু খাওয়ার অপকারিতা
প্রিয় পাঠক, আপনারা এতক্ষনে মধু খাওয়ার অনেক উপকারিতার ব্যাপারে জেনে গিয়েছেন। কিন্তু অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়।
হ্যাঁ, হাজার হাজার বছর ধরে ব্যাবহৃত আশ্চর্য ওষধি গুণ সম্পন্ন এই মধুর ও কিছু অপকারিতা রয়েছে। ভুল ভাবে সেবন করলে হতে পারে ভয়ানক বিপদ, চলুন জেনে নেওয়া যাক মধুর অপকারিতা কি কি –
১। অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
আমরা সকলেই জানি, যে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। স্বাভাবিক খাবার হিসেবে মধু খেতে চাইলে সারাদিনে ১-২ চামচের বেশি খাবেন না।
আর ত্বকের জন্য ওষুধ হিসেবে ব্যাবহার করতে চাইলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যাবহার করবেন।
অতিরিক্ত পরিমাণে মধু সেবন করলে বমি বমি ভাব এমনকি ডাইরিয়াও হতে পারে। তাই অতিরিক্ত সেবন থেকে বিরত থাকবেন।
২। নবজাতকের জন্য হতে পারে ভয়ানক বিপদ
বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞান এটা বলে যে ১ বছরের কম বয়সি কোন শিশু কে মধু খাওয়ানো উচিত নয়।
১২ মাসের কম বয়সি শিশুদের মধু খাওয়ালে তাদের মধ্যে ক্লোস্ট্রিডিয়াম সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
এক্ষেত্রে একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার শিশুকে পরিমাণ মত মধু খাওয়াতে পারেন। শিশুদের ত্বকেও মধুর ব্যাবহার এরিয়ে চলতে হবে।
৩। এলার্জি সমস্যা হতে পারে
গবেষণা থেকে দেখা যায়, যেসব মানুষের পরাগ এলার্জি আছে সেসব ব্যাক্তিরা মধুর ব্যাবহার করলে তাদের এলার্জি বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
তাই আপনার যদি ফুলের পরাগ এলার্জি থেকে থাকে তাহলে সরাসরি মধু ব্যাবহার করবেন না। মধুতে দুধ বা গোলাপ-জল মিশিয়ে ব্যাবহার করতে পারেন, এটি বেশ উপকারী।
৪। দাঁতের জন্য ক্ষতিকর
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আপনি সারাদিন কতটুক পরিমাণ মধু সেবন করছেন সেদিকে লক্ষ রাখা খুবই জরুরী।
মধু সামান্য অ্যাসিডিক যার ফলে দাতে ক্যাভিটি হওয়ার ভয় থাকে। এছাড়াও মাত্রাতিরিক্ত মধু সেবন করলে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়, মাড়ি দুর্বল হয়ে পরে এবং দাঁত বিবর্ণ হয়ে যায়।
৫। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিষ । মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
অনেকেই চিনির পরিবর্তে মধু খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, কিন্তু তার মানে এই নয় যে এতে একেবারেই চিনি নেই।
এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট রক্তের শর্করার পরিমাণ বাড়াতে পারে যা টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপদজনক।
যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমাণ মত মধু সেবন করতে পারেন। অন্যথায় মধু সেবন থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন।
৬। রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে
খাটি মধুতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কিন্তু অতিরিক্ত সেবন করলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
৭। গর্ভাবস্থায় মধু পান-
মধু সব বয়সী মানুষের জন্যই উপকারী বলে মনে করা হয়, কিন্তু গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যপান করানর সময় অত্যাধিক মধু সেবন ডেকে আনতে পারে স্বাস্থ্যঝুকি। তাই গর্ভাবস্থায় মধু সেবন করতে চাইলে অবশ্যই একজন স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক, আশা করছি এই আর্টিকেল থেকে মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে একটি বিস্তারিত ধারনা পেয়েছেন।
মধু একটি প্রাকৃতিক মহা ওষুধ, তবে মাত্রাতিরিক্ত সেবন কিংবা ব্যাবহার দুটই আমাদের জন্য স্বাস্থ্যঝুকি ডেকে আনতে পারে।
আমাদের অন্য আর্টিকেল গুলো পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি।